সাংবাদিকতা এমন একটি পেশা যেখানে একই সঙ্গে দায়িত্বশীলতা ও ন্যয়নিষ্ঠতার দরকার হয়। একজন আদর্শ সাংবাদিক নিজে বস্তুনিষ্ঠ থেকে তথ্য সংগ্রহ করেন, সেইসব তথ্যের সত্যতা যাচাই করেন এবং পাঠক বা দর্শকের জন্যে উপযোগী করে তা প্রকাশ করেন। এসব ক্ষেত্রে সাংবাদিককে হতে হয় নীতিবান। যদিও আদর্শিক এই কথাগুলো এখন অনেক ক্ষেত্রেই কার্যকারিতা হারিয়েছে। এরপরও সাংবাদিক এবং সাংবাদিকতা এখনো সমাজের বাতিঘর হিসেবে কাজ করছে। এখনও দুনিয়া জুড়ে অসংখ্য সাংবাদিক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে, অন্যায় ও অনাচারের বিরুদ্ধে লড়ছে। এটি এমনই একটি পেশা, যার মাধ্যমে সরাসরি মানুষের পাশে দাঁড়ানো যায়। আর এ কারণেই সাংবাদিকতাকে আমি বলি মহান পেশা।
নিপীড়িত-নির্যাতিত মানুষের জন্যে কলম ধরেন যারা; কিংবা যারা সাফল্যের বার্তা খুঁজে বের করেন, যারা পথ দেখান; তাদেরকে ভালোবেসেই আমি নিজেও গণমাধ্যমের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্যে আগ্রহী হয়ে উঠেছি। মানুষের জন্যে সত্যি কিছু করার আগ্রহ থেকেই আমাদের এই প্রয়াস। আমাদের সবসময়ের প্রচেষ্টা থাকবে বিশ্বজুড়ে ঘটে চলা সর্বশেষ সংবাদ পাঠকের কাছে দ্রুত ও নির্ভুলভাবে পৌঁছে দেয়া। তথ্য যেনো হয় নির্ভরযোগ্য হয় তার জন্যে চেষ্টার কোন ত্রুটি থাকবে না।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছেন, “সত্য যে কঠিন,/কঠিনেরে ভালোবাসিলাম,/সে কখনো করে না বঞ্চনা”।
কবিগুরুর কথার রেশ ধরেই আমি বলতে চাই, সত্য প্রকাশে আমাদের প্রচেষ্টা থাকবে সবসময়। কারণ সত্য বঞ্চনা করে না। কোন একটি জিনিসের বিভিন্ন রকমের ব্যবহার থাকতে পারে। এই যেমন একটি ছুঁড়ির কথাই ধরা যাক। ছুঁড়ি একজন ডাক্তারের হাতে গেলে, তিনি তা দিয়ে অপারেশন করে মানুষের জীবন বাঁচাতে পারেন। আবার সেই ছুঁড়ি দিয়েই একজন সন্ত্রাসী মানুষকে হত্যা করে ফেলতে পারে। অর্থ্যাৎ পুরো বিষয়টি হচ্ছে দৃষ্টিভঙ্গি এবং মানসিকতার। অসুস্থ্য মানসিকতার মানুষ, ভালো জিনিসেরও ব্যবহার জানবে না। এটাই স্বাভাবিক। ফলে আমরা চাইবো মানুষের প্রতিনিধি হিসেবে গণমাধ্যমের যে শক্তি তার সঠিক এবং যথাযথ ব্যবহার করতে।
‘ইয়েলো জার্নালিজম’ বা ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ হচ্ছে অপতৎপরতা। এই অপতৎপরতার বিরুদ্ধেও আমাদের পথচলা থাকবে। আমাদের আদর্শ হবে বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা। সেই সঙ্গে শিল্প, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও মানুষের সৃজনশীল চেতনার বিকাশেও কাজ করে যেতে চাই আমরা।
নাঈম খান দাদন
চেয়ারম্যান
www.fbnews247.com